পতিতাদের দখলে রাতের কোর্ট এলাকা
মোহম্মদ রফিক
মাদকসেবনকারী এবং পতিতাদের নিজ নিজ কার্য সম্পাদনের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিনত হয়েছে রাজধানীর কোর্ট কাচারী এলাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই জজকোর্ট এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোতে এদের উৎপাত বেড়ে যায়।
রাজধানীর কোতয়ালী, সুত্রাপু্র, বংশাল, ওয়ারী থানাধীন এলাকাগুলোতে সন্ধ্যা নেমে এলেই বাড়তে থাকে মাদকসেবী আর যৌনকর্মীদের আনাগোনা। রাস্তার দুই পাশে যৌনকর্মীদের ভীড়ে সাধারণ পথচারীদের পড়তে হয় অস্বস্তিতে। আর মাদকসেবীদের খপ্পরে পড়ে খোয়াতে হয় সবকিছু। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। তাদের এই নীরব ভূমিকার কারনেই মাদকসেবীরা আর যৌনকর্মীরা অবাধে তাদের এই অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে পারছে। অভিযোগ আছে, পুলিশ মাদকসেবী এবং পতিতাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকেন। আর এই মাসওয়ারা পায় বলেই পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে আছে সবকিছু।
আরও জানা যায়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, আজাদ সিনেমা হল, হোটেল লাভলী, হোটেল রাজ্জাক, হোটেল ইব্রাহিম এবং বংশালে বাসা বাড়িতেও পুলিশকে চাঁদা দিয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। যৌনকর্মীদের আয়ের নির্দিষ্ট একটি অংশ চলে যায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে। যার কারনে এলাকাবাসী বহুবার অভিযোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ।
প্রতিক্ষণ/রফিক/এডি/তাফসির